মানারাতে ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগের পূর্ণবাসন

মুক্তমন রিপোর্টঃ মনারাত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী কুতুবকে ছাত্রদলের কমিটিতে সহ সভাপতি করে পূর্ণবাসন করায় হতাশা প্রকাশ করছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।
মানারাত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আল আমিন এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় কাউন্সিলের দিন নিশাত-কুতুব প্যানেলের অর্ধেক ভোটার ছিলো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এবং কুতুব নিজেও একজন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। এই নিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে উপস্থিতি সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিষয়টি আমলে নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে বলে সবাইকে শান্ত করে। তিনি আরও যোগ করেন সভাপতি পদপ্রার্থী ইলিয়াস বিপুল সংখ্যক মানারাতের ছাত্রছাত্রী নিয়ে উপস্থিত থাকায় সর্বোচ্চ ভোট নিশ্চিত করেন।
মানারাতের ছাত্রদলের কমিটির বিষয় আরও কথা মানারাতের সাবেক ছাত্র ও উত্তরা পশ্চিম থানার অন্তর্গত ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাফছীরুল ইসলাম সানির সাথে। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন মানারতে কেম্পাস দুইটা। তবে অতন্ত্য দুঃখের সাথে খেয়াল করলাম কমিটিতে গুলশান কেম্পাস থেকে কাউকে রাখা হয় নাই এবং সিনিয়টি ভায়োলেট করে জুনিয়র ছেলেকে সভাপতি করা হয়েছে।
এই ভাবে শুধু আশুলিয়া কেম্পাস কেন্দ্রিক কমিটি এবং সিনিয়রদের ভায়োলেট করে জুনিয়রকে সভাপতি করার মাধ্যমে ছাত্রদলে একটি বিভাজনের বীজ রোপণ করা হলো। যা শক্তিশালী ইনক্লুসিভ ছাত্রদলের কমিটি গড়ে তোলার জন্য একটি অন্তরায় বলে আমি মনে করি। সিনিয়রটি মেইনটেইন করে দুই কেম্পাস থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ছাত্রদলের একটা শক্তিশালী কমিটি আমি আশা করেছিলাম।
ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাধারণ ছাত্র বলেন কুতুব, মন্ডল এবং তাফি ছাত্রলীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে আমাদের অনেক মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। এখন তাদেরকে কার পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়।
এই বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগ্য করার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয় নাই।