বিশ্ব

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং

সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণের পর আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভোটাররা। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন উদারপন্থি লি জে মিয়ং।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সব ভোট গণনার পর দেখা যায়, বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী লি ৪৯ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন সু পান ৪১ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ নির্বাচনে প্রায় তিন কোটি ৫০ লাখ ভোট পড়েছে। এটি ১৯৯৭ সালের পর থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পড়া সর্বোচ্চ ভোট।

রয়টার্স জানায়, জয়ী হওয়ার পর ৬১ বছর বয়সী সাবেক মানবাধিকার আইনজীবী লি মঙ্গলবারের নির্বাচনকে ইউনের সামরিক আইন জারি ও তার এ দুর্ভাগ্যজনক পদক্ষেপ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়া পিপল পাওয়ার পার্টির বিরুদ্ধে ‘বিচারের দিন’ বলে অভিহিত করেছেন।

নির্বাচন কমিশন বুধবার লি-কে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে। এর পরপরই লি প্রেসিডেন্ট ও সর্বাধিনায়কের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। পার্লামেন্টে এক সংক্ষিপ্ত অভিষেক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বুধবার থেকে প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শুরু করা লি তার দেশকে সামরিক আইন জারির জেরে সৃষ্ট অস্থিরতা থেকে বের করে আনার, ধীর প্রবৃদ্ধির কারণে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার ও বৈশ্বিক সংরক্ষণবাদের হুমকি থেকে রক্ষার প্রত্যয় জানিয়েছেন।

পার্লামেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং ও তার স্ত্রী কিম হাই কিয়ং। ছবি: রয়টার্স
পার্লামেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং ও তার স্ত্রী কিম হাই কিয়ং। ছবি: রয়টার্স

পার্লামেন্টের বাইরে দেওয়া এক বিজয় ভাষণে লি বলেন, “প্রথম লক্ষ্য হলো বিদ্রোহকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা আর জনগণের বিরুদ্ধে বন্দুক ও তলোয়ার নিয়ে যেন আর কোনো সামরিক অভ্যুত্থান হতে না পারে তা নিশ্চিত করা।

“আমাদের জনগণের সম্মিলিত শক্তি সঙ্গে নিয়ে সাময়িক এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো আমরা। আমাদের ব্যাপক সক্ষমতা আছে।”

অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানো ইউন বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট মেয়াদের তিন বছর কাটানোর পর সবাইকে বিস্মিত করে সামরিক আইন জারি করে বসেছিলেন। কিন্তু পার্লামেন্ট ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের প্রবল প্রতিরোধের মুখে তার এ পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়। পরে অভিশংসনের মাধ্যমে ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির পার্লামেন্ট।

এতে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয় দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবারের আগাম নির্বাচনে লি-র জয় এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে এক বিরাট পরিবর্তনের সূচনা করবে, লিখেছে রয়টার্স।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button