বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মুক্তমন রিপোর্ট : বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো অবস্থান নেই। এখানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা আজ (৬ জুলাই রবিবার) সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর রপ্তানি কার্গো ভিলেজ ও সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-এর হিমাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানান।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জঙ্গি ট্যাগ দেওয়া ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, দেশে যে ৩ জনকে পাঠানো হয়েছে তাদের কেউ জঙ্গি নয়। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রেস রিলিজও দিয়েছিল। মূলত তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার পুলিশের চিফ যে পাঁচজনকে নিয়ে কথা বলেছেন সেই পাঁচজন দেশে আসেনি। তাদের সঙ্গে আমাদের সরকারি লেভেলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখব। তবে বাংলাদেশে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
মালয়েশিয়ার আইজিপি বাংলাদেশের পাঁচজনকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন, এটা কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, সে দেশের (মালয়েশিয়ার) আইজিপি কী বলেছে আমি জানি না। আমরা অফিসিয়ালি সরকারি লেভেলে কোনো মেসেজ পাইনি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যে মেসেজ পেয়েছি সেটা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রেস রিলিজ আপনাদের দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গিবাদ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের (মিডিয়ার) সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাদের ক্রেডিট অনেক বেশি। গত ১০ বছরে আপনারা জঙ্গিবাদের কোনো তথ্য দিতে পেরেছেন? যখন ছিল তখন দিয়েছেন। এখন নেই তাই দিতে পারেন না।
আপনি কী মনে করেন বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশকে জঙ্গি তকমা লাগানো হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, এটা হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এখান থেকে শাক-সবজি, ফলমূল প্রভৃতি বিদেশে রপ্তানি করা হয়৷ রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখার জন্যই কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে আসা। তিনি বলেন, আপনারা জানেন- কিছুদিন আগে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের ফলমূল ও শাক-সবজি রপ্তানি করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল৷ সে সময় আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেকেই কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন৷ উপদেষ্টা এসময় জানান, যেহেতু আমাদের দেশের রপ্তানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে, সেহেতু এখানে যে কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে সেটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, আমাদের জন্য বড় সুখবর হচ্ছে আমাদের যে নতুন এক্সপোর্ট টার্মিনাল করা হচ্ছে- সেখানে যদি কোনো মালামাল/পণ্য স্ক্যানিং হওয়ার পরও বিমানে যেতে না পারে সঙ্গে সঙ্গেই এসব মাল কোল্ড স্টোরেজে রাখা যাবে। উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে যদি বিমানে ওভারলোড হয় তাহলে যেসব মাল রেখে দিতে হবে সেসব মাল রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজ নেই। কিন্তু নতুন টার্মিনালে এই সুযোগটা থাকছে। তিনি বলেন, আমরা শুধু একটা-দুইটা পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। কীভাবে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।