উত্তরায় হোপ স্কুলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংলিশ সেন্টার চালু

মুক্তমন রিপোর্ট : শিশু ও কিশোরদের মানসম্মত ইংরেজি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রাজধানীর উত্তরায় ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশে (আইএইচএসবি) ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় চালু হয়েছে ইয়াং লার্নার ইংলিশ সেন্টার।
শনিবার (১১ অক্টোবর) স্কুলের উত্তরার প্রধান ক্যাম্পাসে এই ইংলিশ সেন্টারের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইএইচএসবির প্রাইমারি সেকশনের প্রধান নাজমুন নাহার বলেন, উত্তরায় নতুন এই সেন্টারটি এমন এক প্রাণবন্ত শেখার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে, যেখানে শিশু ও কিশোররা আনন্দময় পরিবেশে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
স্কুলের প্রিন্সিপাল রোকসানা জারিন বলেন, সমন্বিত শিক্ষা ও বৈশ্বিক প্রস্তুতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন একাডেমিক সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সুযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এই ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার একটি কাঠামোবদ্ধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কারিকুলাম প্রদান করবে, যা শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতায় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করবে।
ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের মূল প্রতিষ্ঠান স্টারলিং এডুকেশনের চেয়ারম্যান টিমোথি ডোনাল্ড ফিশার বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বমানের শিক্ষাদানের মান আমাদের স্কুলে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেন্টারটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সার্টিফিকেট প্রদান করবে, যা শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে এবং আমাদের স্কুলের সুনাম বৃদ্ধি করবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, আজকের এই নতুন অংশীদারিত্বের মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণ শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী করে তোলা এবং বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করা।
উত্তরার এই নতুন সেন্টারটি ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু ও কিশোরদের জন্য মানসম্মত ইংরেজি শিক্ষা প্রদানের সুযোগ তৈরি করবে। এটি ঢাকার দক্ষিণে অবস্থিত ফুলার রোড ব্রিটিশ কাউন্সিল সেন্টারের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। ফলে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা স্বল্প দূরত্বে মানসম্মত ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে।
ক্যামব্রিজ-সনদপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিলের তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি কোর্সগুলো পরিচালিত হবে। এসব কোর্স শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বিকাশের পাশাপাশি তাদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করবে। এছাড়া অভিভাবকেরা সন্তানের শেখার অগ্রগতি নিয়মিতভাবে জানতে পারবেন এবং তাদের সাফল্য একসঙ্গে উদযাপন করতে পারবেন।