রাজনীতি

নুরুল হক নুরকে নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্যের জবাব গণঅধিকার পরিষদের

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুরের একটি বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এবিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান পিপিএম ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মোঃ নাজমুল করিম খানের সাথে কথা বলেছেন। এবং তিনি পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদের বিষয়ে জবাব প্রদান করেছেন। মূলত গত ৯ মে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের গণমিছিল শুরু হলে পুলিশ হামলা করে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয় এবং সেদিন নুরুল হক নুরের মোবাইলসহ ২৩ টি মোবাইল ছিনতাই হয়। হামলার প্রেক্ষিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রতিবাদ জানান। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নুরুল হক নুরের খণ্ডিত বক্তব্য প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। যেকারণে কোন প্রেক্ষিতে নুরুল হক নুর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তা জানতেন না পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন তাদেরকে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর হামলার বিষয়ে অবহিত করলে, তারা জানিয়েছেন তাদের এই বিষয়ে জানা ছিলো না।

গণঅধিকার পরিষদ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রাম করেছে। গণঅভ্যুত্থানে গণঅধিকার পরিষদের ১১ জন শহীদ ও অসংখ্য নেতাকর্মী হামলা-মামলার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জেল ও রিমান্ডে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের প্রোগ্রামে তো গণতন্ত্রের পক্ষের কোন পুলিশ বাঁধা দেওয়ার কথা না। তাহলে কারা হামলা করলো, বাঁধা দিলো? আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের প্রোগ্রামে হামলাকারী পুলিশ কোনভাবেই গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হতে পারেনা। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উচিত ছিলো একপাক্ষিক বিবৃতি না দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার পর বিবৃতি প্রদান করা। এবং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নিন্দা প্রকাশ ও হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করা।

গণঅধিকার পরিষদ পুলিশকে জনগণের বন্ধু মনে করে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জামানায় যেসকল পুলিশ সদস্যরা চাকরিচ্যুত ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে, আমরা সবসময় তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছি। আমরা মনে করি, পুলিশের মধ্যে সংস্কার প্রয়োজন। পুলিশ আর কখনোই দলীয় বাহিনীর মত আচরণ না করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী হিসেবে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবে। যেকোন জনবান্ধন ও জনকল্যাণমূলক কাজের সাথে ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশে থাকবে গণঅধিকার পরিষদ।-Press Release

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button