জাতীয়

অবিস্মরণীয় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা এবং আহত বীরদের সম্মানা অনুষ্ঠান

ইসমাঈল হোসাইন : বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই বিপ্লব সবচেয়ে ইনক্লুসিভ ও বিস্তৃত গণআন্দোলন— মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার আজীবন সদস্য এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।

চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা আয়োজিত “জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা এবং আহত বীরদের সম্মাননা” অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,

আমরা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন দেখেছি, পাকিস্তানের বৈষম্য দেখেছি, ’৭১-এর স্বাধীনতার যুদ্ধ ও ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থান প্রত্যক্ষ করেছি—কিন্তু ২৪ জুলাইয়ের যে গণআন্দোলন এবং ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৩৬ দিনের বিপ্লব, সেটি সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে অন্য সব আন্দোলনকে ছাপিয়ে গেছে।

তিনি শহীদ আবু সাইদের বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ স্মরণ করে বলেন, আবু সাইদ বুক পেতে গুলির সামনে দাঁড়িয়ে গোটা জাতিকে এই বার্তা দিয়ে গেছেন—আমরা জীবনকে ভয় করি না, জনগণের অধিকার রক্ষার লড়াই থেকে পিছিয়ে যাব না।”

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হুম্মাম কাদের চৌধুরী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আবদুল মোমেন চৌধুরী প্রমুখ।

সভাপতিত্ব করেন: চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার প্রতিনিধি ও সংগঠকবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব,আল্লামা অধ্যাপক মামুনুল হক বলেন, আমাদের জুলাইয়ের আদর্শকে ধরে হবে। এটা আমাদের ঈমানের সাথে সম্পর্ক। এই বিপ্লবকে ধরে রাখতে হলে জীবন দিয়ে রক্ষা করতে হবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন, জুলাই বিপ্লবে গুলিবিদ্ধ ও কারাবরণকারী ছাত্রনেতা মোহাম্মদ সায়েম। তিনি অভিযোগ করেন,

শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই সভা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মূল ভেন্যু ছিল চট্টগ্রাম সমিতির অডিটোরিয়াম, কিন্তু প্রশাসন আমাদেরকে বাধা দিয়েছে । এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।” অনুমতি থাকার পরও আমাদের এই অনষ্ঠান ফ্যাসিবাদের কায়দায় বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা হয়েছে।

আয়োজনে ও উপস্থিতিতে ছিলেন:
চট্টগ্রাম সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা নাসির উদ্দীন মিজান, এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, এম এ হাসেম রাজু সহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা ২৪ জুলাইয়ের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এই বিপ্লবের চেতনা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button