পবিত্র কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে র্শাশার সাতমাইল পশুহাট

মসিয়ার রহমান কাজল,বেনাপোলঃ আসন্ন পবিত্র কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে দক্ষিণ বঙ্গের সব চেয়ে বড় র্শাশা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাট।
কুরবানির গরু ও ছাগল কিনতে দূর থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে এই হাট।দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারী গরু ব্যবসায়ী(বেপারীরা) এ পশুহাট থেকে পছন্দমত গরু ও ছাগল কিনে স্ব স্ব এলাকার বাজারে সরবরাহ করে থাকেন।
বুধবার ০১ লা জুন ২০২৫ জুন দুপুরে সাত মাইল পশু হাটে গিয়ে দেখ যায়কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু ছাগল উঠেছে এই বাজারে।অনেক ধরনের গরু ও ছাগল সেই সাথে ক্রেতাও বিক্রেতা।
সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন বসে এই হাট। সকাল ৮টার পর থেকে বেলা ১২টা ১ টার মধ্যে বাজার ভরে যায় গরু ও ছাগলে।সেই সাথে মহিষ ও ভেড়াও দেখা যায়।ঈদের বাজার ধরতে স্থানীয় ছোট ছোট খামারিরা তাদের পোষা গরু ও ছাগল বিক্রি করতে এসে অনেকে কাঙ্খিত মূল্য না পেয়ে অখুশী।আবার অনেকে ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেজায় খুশী।
সরেজমিনে দেখা যায় নানান সাইজের নানান ধরনের হাজার হাজার গরু। ক্রেতারাও তেমনি তাদের পছন্দের গরু দেখে ক্রয় করছে।অনেকে গরু পছন্দ করলেও মূল্য নিয়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।যে কারণে অনেকে ছোট ছোট গরুর প্রতি বেশি ঝুঁকছে।বাজারে অনেক বড় বড় গরু উঠলেও বড় গরুর ক্রেতা কম তবে ছাগল ও ভেড়ার ক্রেতা সন্তোষজনক।
হাটে কথা হয় ফেনি থকে আসা গরু ব্যবসায়ী মফিজুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, অনেক বছর ধরে এই পশু হাট থেকে গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে।অনেক লাভও হয় তার।
তিনি আরও জানান, এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাঁকা হচ্ছে।তার জন্য গরু কেনায় সমস্যা হচ্ছে।বেপারী ও খামারিরা তাদের গরুর দাম বেশি বলায় বেচাকেনা অনেক কম।এ জন্য তিনি বেশিগরু কিনতে পারেননি বলে জানান।
গরু কিনতে আসা রুদ্রপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি।তবে তুলনামূলক ভাবে এ বছর দামটা একটু বেশি।
হাটে গরু বিক্রির জন্য আসা খামারিরা জানান,এ বারে কুরবানির ঈদে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে।সব ক্রেতাদের ছোট গরুর প্রতি ঝোক বেশী।আমরা খামারিরা যারা বড় গরু লালনপালন করেছি এ ঈদে বিক্রির জন্য সে গরুতে লাভের চেয়ে লস হবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্শাশা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার তপু কুমার সাহা জানান, র্শাশায় মোট ১১শত ৩১ টি ছোট বড় খামার আছে।এইসব খামারে কুরবানির জন্য ৩ হাজার ৭ শত ১০টি গরু,৯৪ টি মহিষ ও ১০ হাজার ৩১২টি ছাগল,ও ৯৪ টি ভেড়া,প্রস্তুত রয়েছে।তিনি বলেন এ বছর র্শাশায় কুরবানীর চাহিদাপশুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭২৬ টি।তবে র্শাশা উপজেলায় কুরবানির চাহিদা মেটানোর পর ১ হাজার ৫০০ টি পশু বাড়তি থাকায় তা বাইরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবে।তিনি আরো বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবে।এজন্য সীমান্তে ঈদের সময় কড়া নজর দারির জন্য বিজিবি’র প্রতি আহ্বান জানান।