জাতীয়

বেনাপোল সহ শার্চায় হাট বাজারে জমে উঠেছে লোভনীয় ফল তাল শাঁস বেচাকেনা

মসিয়ার রহমান কাজল,বেনাপোলঃ এই গরমে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল সহ বিভিন্ন হাটবাজারে জমে উঠেছে লোভনীয় ফল তাল শাঁস বেচাকেনা

বিক্রিওহচ্ছে দেদারছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মৌসুমী এই ফলটি কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে,জৈষ্ঠ্যের ভ্যাপসা গরমে শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তালের শাঁস। সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় এ সময় বিভিন্ন বয়সী শ্রেণী-পেশার মানুষের পছন্দের ফল তাল শাঁস।এ ফলটির রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধি গুণ।

বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে সর্বত্র তাল গাছ দেখা দেখা যায়। তালগাছ শাখা-প্রশাখা বিহীন একবীজপত্রী উদ্ভিদ। তালগাছ বাড়ির আনাচে-কানাচে,পুকুর পাড়ে, নদীর ধারে, পরিত্যক্ত স্থানে বেশি দেখা যায়। তবে দিনে দিনে বিলুপ্তির পথে তালগাছ। তালগাছ কিন্তু দীর্ঘজীবী।পৃথিবীর বহুদেশে তালগাছ আছে। এই গাছ কমবেশি শতবছর বাঁচে। তালগাছের প্রতিটি অংশই আমাদের প্রয়োজনীয়। পাতায় ঘরের ছাউনি, জ্বালানি, গরমের বন্ধু হাত পাখা, পাতার ডগার আঁশ দিয়ে মাছ ধরার নানা যন্ত্র তৈরির উপকরণের যোগানদার এই তালগাছ।

এক সময় এই তালের আঁশ দিয়েই টুপিও তৈরি হতো।তালের ডোঙা বর্ষাকালে গ্রাম বাংলার অন্যতম বাহন।তালের রস, তালের গুড়, কচি তালের শাঁস, পাকা তাল, তালের পিঠা, পাকা তালের বিচির শাঁস এরসবই অত্যন্ত মজার ও উপাদেয় খাবার। তাল এর দীর্ঘজীবনের প্রায় পুরোটা সময়ই ফল দেয়।
নাভারন কুন্দিপুর গ্রমের পিপুল মিয়াবলেন তাল যখন কাঁচা থাকে, তখনো খাওয়া যায় তখন বাজারে এটি পানিতাল হিসেবে বিক্রি হয়।কেউ বলে তালশাঁস আবার কেউ বলে তালের চোখ।যে যেই নামে চিনুকবা জানুক এটি মৌসুমি ফল।

মধুমাস জ্যৈষ্ঠতে বিভিন্ন ফলের সঙ্গে এই ফলেরও কদর বাড়ে। খেতে সুস্বাদু ফলটি রাস্তার মোড়ে, ফুটপাতে কিংবা হাট-বাজারে এ সময়টায় দেদার বিক্রি হয়। অনেকে বিক্রির জন্য এই কচি তাল বাজারে তুলেছেন।আর চোখে পড়ে বিক্রে তারা-হাঁসুয়া বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাল কেটে তালের শাঁস বের করার দৃশ্য।

উপজেলার বেনাপোল বাজারের তাল শাঁস বিক্রেতা সেন্টু মিয়া জানান,প্রতিটি তাল ১০ থেকে ১৫ টাকা বেচাকেনা হয়।প্রতিটি তাল পাইকারি দাম ৪ টাকা থেকে ৬ টাকা। সে হিসাবে প্রতি গাছের তাল ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা করে বিক্রি হয়।

বেনাপোল বাজারের ব্যবসায়ী প্রবীণ ব্যক্তি আলি হোসেন জানান,বাজারে আসা অসংখ্য ফলের চেয়ে তালশাঁসের বৈশিষ্ট্য আলাদা। একটি তালে ২-৩টি বীজ বা আঁটি থাকে। পরিপক্ব হওয়ার আগে সুস্বাদু তালশাঁস তুলতুলে থাকে। মূলত তালের ভেতরে নরম তুলতুলে সাদা অংশকে তাল শাঁস বলে।

এটি ঠান্ডা ও মিষ্টি জাতীয় সুস্বাদু খাবার। সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। গরমের দিনে পিপাসা পথিকের তৃষ্ণা মেটায় তাল শাঁস। তালের শাঁস শরীর শীতল করাএকটি অতি সু স্বাদু ফল।

ভ্যানে করে তাল শাঁস বিক্রি করেন আব্দুল হায় বলেন শিশু,কিশোর,যুবকযুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে প্রিয় তালের শ্বাস। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি খায়। দামেও বেশ সস্তা। তাই বাজারে এর কদরও বেশি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button