জাতীয়

‘ফিটনেসবিহীন’ বাসের মেয়াদ আরো ১০ বছর বাড়ানোর আবদার পরিবহন মালিকদের

মুক্তমন রিপোর্ট : বাস ও মিনিবাস এবং ট্রাক ও কাভার্ভ ভ্যানের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ২৫ ও ৩০ বছর করাসহ ৮ দফা দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পরিবহন মালিকরা। এই বৈঠকের পর জানা যাবে আগামী ১২ আগস্ট (মঙ্গলবার) থেকে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট বহাল থাকবে কিনা।

রোববার (১০ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টায় বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে এই বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে সভাপতি করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এছাড়া উপস্থিত আছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলমসহ বাস-ট্রাকের বিভিন্ন পরিবহনের নেতারা।

বৈঠকের শুরুতে পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, আমরা কেউ রাজনৈতিক সরকার না। এমন নয় যে আমাদের কোনো সংগঠন আছে। আমরা আপনাদের প্রতিপক্ষ না। তবে সড়কে মেয়াদহীন গাড়ি ভা। এর কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। এগুলো সড়ক থেকে সরাতে হবে। আপনাদের দাবিগুলো যাচাই করতে এক মাস সময় লাগবে।

দাবিগুলো হলো- সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ নম্বর ধারাসহ আমাদের সুপারিশকৃত ধারাগুলো সংশোধন করতে হবে। বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া যেসব গাড়ি ফিটনেস পাবে না বা বায়ুদূষণযন্ত্রের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ করে বলে প্রমাণিত হয় সেসব গাড়ি নতুন-পুরাতন বিবেচনা যাই হোক না কেন চলাচলে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। আগে পুরোনো গাড়ি অপসারণের ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি শুধু মেট্রোপলিটন এলাকায় চলাচল করতে পারবে না। জেলায় বিআরটিএর ফিটনেস পাওয়া সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে। এই বিষয়টি বহাল রাখতে হবে।

এসব সমস্যা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত বিআরটিএ কর্তৃক ২০ ও ২৫ বছরের পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রাখতে হবে। বাজেটে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী যানবাহনের ওপর আরোপিত দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর (প্রিজাম্পটিভ ইনকাম ট্যাক্স) কমিয়ে আগের মতো বহাল রাখতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন রাস্তা থেকে সরানোর জন্য সহায়ক হিসেবে বাণিজ্যিক রিকন্ডিশন যানবাহন (বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইম মুভার) আমদানির মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করতে হবে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি থানায় আটক হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় দেওয়ার বিধান রয়েছে। যা বাস্তবে কার্যকর করা হয় না। এটি কার্যকর করতে হব। মেয়াদোত্তীর্ণ পুরোনো যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা তৈরি করতে হবে। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনসহ (অটো-টেম্পু, অটোরিকশা) বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদনবিহীন হালকা যানবাহনের পৃথক লেনে চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। অধিকাংশ দুর্ঘটনাই এসব যানবাহন মহাসড়কে একত্রে চলাচলের কারণে হয়ে থাকে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নবায়ন দ্রুততার সাথে ডেলিভারি দিতে হবে এবং শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button