আইন-অপরাধ

কলমাকান্দায় পূর্ব বিরোধের জেরে সেলিমের বাড়িতে হামলা, চারজন গুরুতর আহত

আহতদের অবস্থার অবনতি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

ইসমাঈল হোসাইন, নেত্রকোনা থেকে : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রিকা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে ইব্রাহীম গং শুক্রবার রাতে সেলিম আকন্দের বাড়িতে নির্মম সন্ত্রাসী হামলার চালায় । সশস্ত্র হামলায় তাকে ও তার পরিবারের ৪ সদস্যকে গুরুতরভাবে জখম করে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে ওই রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের ইব্রাহিম আকন্দ (২৫), ইসমাঈল আকন্দ (২৩), মোরসালিন আকন্দ (১৯) এবং তাদের মা হাবিবা খাতুন (৫০) সেলিম আকন্দের বাড়িতে হামলা চালায়। শুরুতে তারা সেলিমকে ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য গালিগালাজ করে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ইদ্রিস আলী আকন্দের নেতৃত্বে তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সেলিম ও তার পরিবারের ওপর হামলা শুরু করে।

হামলাকারীরা কুড়াল, রামদা, রড ও সাবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেলিমকে উঠানে টেনে নিয়ে আসে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে সেলিমের মাথায় রড ঢুকে গভীর জখম হয়। তার পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। বাধা দিতে গেলে তার বাবা আব্দুর রব আকন্দ (৭৫) গুরুতর আহত হন—তার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় এবং হাত ভেঙে যায়। এ সময় সেলিমের ছেলে সাকিব আকন্দকেও কোপানো হয়। প্রাণভিক্ষা চাইলে স্ত্রী সাকিমা আক্তারকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় আহত সেলিম আকন্দের স্ত্রী সাকিমা আক্তার বাদী হয়ে কমলাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলার পর থেকেই আসামিরা বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার চারদিন পার হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাজন বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button