চাঁদাবাজির অভিযোগ : সেনাবাহিনীর হাতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর খিলক্ষেত ও উত্তরা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক দিনে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ ও উত্তরার স্লুইসগেট ফলের আড়ত থেকে গতকাল শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্প ও দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তারা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
পরে পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্প ও দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠানো পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—খিলক্ষেতের ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ইসমাইল হোসেন বাবু ও শেখ সাইফুল এবং উত্তরা পশ্চিম থানা যুবদলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মো. মিলন ও তাঁর সহযোগী সেলিম রানা, সাইদুল ইসলাম, কাজিম উদ্দিন, আব্দুর রহিম মান্নান ও মো. রিপন। তাঁদের মধ্যে মো. মিলন এ নিয়ে তিনবার সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেন।
পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী জানায়, খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় শনিবার রাত ৮টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে খিলক্ষেতের ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ইসমাইল হোসেন বাবু ও শেখ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য তাঁদের খিলক্ষেত থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর দিকে দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরার স্লুইসগেট ফলের আড়তে শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানা যুবদলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মো. মিলন ও তাঁর সহযোগী সেলিম রানা, সাইদুল ইসলাম, কাজিম উদ্দিন, আব্দুর রহিম মান্নান ও মো. রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদেরও চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদাবাজির ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।