বৃহত্তর উত্তরা

বাসযোগ্য সবুজ নগরী গড়ার ঘোষণা ডিএনসিসি প্রশাসকের

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৮ (৪৪, ৪৫ এবং ৪৬ নং ওয়ার্ড) উত্তরখান এলাকার গনশুনানী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ রাজধানীকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আগামী বর্ষা মৌসুমে বৃক্ষরোপন করে সবুজে আচ্ছাদিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ (২৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার উত্তরা কমিউনিটি সেন্টার এ বিকাল ৩ টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর রাস্তা উন্নয়ন, সড়ক বাতি, খেলার মাঠ, পার্ক উন্নয়ন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বিশিষ্টজন ও সম্মানিত নগরবাসীর উপস্থিতিতে এই গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে নাগরিকরা সরাসরি ডিএনসিসি প্রশাসকের সঙ্গে তাদের অভিযোগ, পরামর্শ ও সেবা সম্পর্কিত বিষয়ে কথা বলেন এবং প্রশ্ন করেন। ডিএনসিসি প্রশাসক সকলের প্রশ্ন শুনেন ও জবাব দেন। এছাড়াও ডিএনসিসির পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে একটি ফরম দেওয়া হয়, সবাই যার যার মতামত ও অভিযোগ লিখে জমা দেন।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের পাশাপাশি প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। কর্মীদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করি সবাই। কিন্তু আমাদের কর্মীরা কিন্তু সবার বাড়ির ভিতরে গিয়ে ওষুধ দিতে পারে না এটাও সত্যি। তাদেরকে তো বাউন্ডারির বা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না৷ আপনারা সবাই একটু খেয়াল করলেই দেখবেন বেশিরভাগ বাড়ির ভিতরে ও বাউন্ডারিতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র রয়েছে, ময়লা আবর্জনা রয়েছে। অতএব দয়া করে নিজেদের ঘরবাড়ি নিজেরা পরিষ্কার করুন।
নতুন এলাকার এক বাসিন্দা হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে প্রশাসক বলেন, সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে আইন রয়েছে। সেই আইন ভঙ্গ করে কয়েক বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের এখতিয়ার আমার নেই। এটা করলে আইন ভঙ্গ করা হবে এবং এর জন্য ভবিষ্যতে আমি এবং আপনারা বিপদে পড়বেন। পরবর্তীতে যিনি দায়িত্বে আসবেন তখন আবার পূর্বের সব বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে বাধ্য হবেন। এতে আপনারাই ঝামেলায় পড়বেন।
তাই আপনারা নিয়ম অনুযায়ী সব বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স দিবেন, তবে আমার কাছে রিবেটের (কর ছাড়) সুযোগ রয়েছে। রিবেটের জন্য আবেদন করবেন আমার এখতিয়ার অনুযায়ী সর্বোচ্চটা পাশ করে দিব এতে করে আপনাদের হোল্ডিং ট্যাক্সের পরিমান অনেক কমে যাবে। আইন অনুযায়ী একটি সুন্দর সমাধান হবে।

তিনি বলেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা কর মেলা (হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের জন্য) আয়োজন করবো। এই মেলায় ওয়ান স্টপ সেল থাকবে। সেখানে একদিনেই তাৎক্ষনিক হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করা যাবে। মেলাতেই কর ছাড়ের আবেদনের ব্যবস্থা করবো। ভোগান্তি ছাড়া স্বল্প সময়ে মেলাতে আপনারা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই অঞ্চলে রাস্তা উন্নয়ন, সড়ক বাতি, খেলার মাঠ, পার্ক উন্নয়ন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। আর যেসকল সমস্যা আছে আপনারা আমাদের ফরমে লিখে দেন আমরা ব্যবস্থা নিবো।
গণশুনানিতে অন্যাদের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৮ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন। যিনি উত্তরখান ও দক্ষিণ খানের অতীতের জলাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করেছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button