উত্তরায় সাংবাদিকদের ঈদ পুনর্মিলনী ও মোজো সেমিনার

মুক্তমন রিপোর্ট : উত্তরায় বসবাস ও কর্মরত সাংবাদিকদের ঈদ পুনর্মিলনী ও মোবাইল জার্নালিজম নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১শে জুন) রাজধানীর উত্তরায় ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টে ঈদ পূর্ণমিলনী ও মোজো সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিলো সাপ্তাহিক মুক্তমন।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো: আফাজ উদ্দিন আফাজ। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব সিনিয়র সাংবাদিক মিয়া হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের ঢাকা ১৮ আসনের মনোনিত প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির উত্তরা জোনের সভাপতি মো:হেলাল তালুকদার। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো: মিজানুর রহমান।
সাংবাদিকদের মোজো সেমিনার সেশনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অংশ নেন উত্তরা প্রেসক্লাবের সদস্য এবং বৃহত্তর উত্তরায় বসবাসরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। মোবাইল জার্নালিজম বেসিক ট্রেনিং দেন বাংলাদেশ টাইমসের মোজো এডিটর-ইন-চিফ সাব্বির আহমেদ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিলেন টঙ্গী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মোস্তফা জামান বলেন, আগামীদিনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে। অতীতে সাংবাদিকতাকে শোষনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিগত সরকার সাংবাদিক সমাজের উপরে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে, সাগর-রুণী হত্যাকাণ্ডের তারা বিচার করতে পারে নাই। আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে তোষামোদি সাংবাদিকতা দেখতে চাই না। আমরা চাই সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকের চোখে চোখে রেখে প্রশ্ন করবে। আগামী দিনে যদি আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসি সাংবাদিকদের কল্যাণ কাজ করবো এবং উত্তরা প্রেসক্লাবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
উদ্বোধনকালে ডিআইজি মিজানুর রহমান বলেন, আমি মনে করি প্রতিটি শ্রেনী-পেশার নাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হলো জবাবদিহিতা। কেবলমাত্র পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সরকারের কর্মীদেরই জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সেরা জাতি গঠণ সম্ভব নয়। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবি ও সাধারণ সবাইকেই এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে এবং একটি ছায়ার নীচে আসতে হবে।
মো: আফাজ উদ্দিন আফাজ তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভুমিকার পাশাপাশি ক্ষমতাসীনদের পাশে থেকে তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
অধ্যক্ষ আশরাফুল হক বলেন, আমাদের জাতিস্বত্ত্বা ও নিজস্বতা রক্ষা করা না হলে এটি আত্মপ্রবঞ্চক হয়ে যাবে। তাই আমাদের উচিত নতুন এই বাংলাদেশে পুরনো বলয় ভেঙে নতুন একটি অভিন্ন জাতিসত্ত্বা হিসেবে নিজেদের গঠন করে তুলে ধরা। আর আমাদের এই যাত্রায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বিকার্য। সেই ভুমিকা পালনে অবশ্যই প্রত্যেককেই আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনায় মিয়া হোসেন বলেন, নিউ মিডিয়ার এই সময়ে সাংবাদিকদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যূত্থানের যে স্পিরিট আমাদের মাঝে এসেছে সেই দায়িত্ববোধকে আরো শানিত করে মানুষের কল্যাণে প্রতিটি গণমাধ্যমকর্মীকেই কাজ করতে হবে।
আলোচনায় উপস্থিত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ উত্তরায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তারা আগামীতেও ঐক্য ধরে রেখে সাংবাদিকদের মান উন্নয়নে এ ধনের অনুষ্ঠান অব্যহত রাখার জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য মহাযুগ পএিকার সম্পাদক ফরিদ আহমেদ নয়ন বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে সবসময় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে আমরা পাশে চাই। আপনারা যারা দৈনিক মহাযুগ পএিকার আয়োজনে বেসিক মোজো জার্নালিজম ও সাংবাদিকদের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিবৃন্দ আমাদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য আপনাদেরকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই।