ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে উত্তরা ১২ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে সচেতনতামূলক র্যালি ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ উদযাপন

মুক্তমন রিপোর্ট: রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে আজ শুক্রবার (৪ জুলাই ২০২৫) সকাল ৮:৩০ মিনিটে ‘পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ ২০২৫’ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত র্যালিটি সেক্টর পার্ক থেকে শুরু হয়ে সেক্টরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্কের সামনেই এসে শেষ হয়।
এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সেক্টরের সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দ, যা আয়োজনটিকে রূপ দেয় একটি গণসচেতনতামূলক জনস্রোতে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা ১২ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি শরীফ সান্টু। তিনি বলেন, “আমরা যারা নগরবাসী, তাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো নিজেদের বাসস্থান ও চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা। মশাবাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া আমাদের শহুরে জীবনের জন্য এক বড় হুমকি। কিন্তু আমরা যদি সামান্য সতর্ক হই—জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখি, ফুলের টব, ছাদ, ড্রেন ইত্যাদি নিয়মিত পরিস্কার করি, তাহলেই এ রোগের বিস্তার রোধ সম্ভব।
উত্তরা ১২ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি শুধু এই সচেতনতায় সীমাবদ্ধ নয়, আমরা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।
স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “একটি পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ সেক্টর গড়ে তুলতে আমাদের সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এই র্যালি কেবল প্রতীকী উদ্যোগ নয়, বরং এটি আমাদের একটি বার্তা—আমরা সবাই মিলে যদি এগিয়ে আসি, তাহলে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব। আমরা আগামীতে প্রতি পরিবারে সচেতনতা বাড়াতে ঘরে ঘরে লিফলেট বিতরণ, ওয়ার্কশপ ও কর্মশালার আয়োজন করবো। আজকের এই উদ্যোগ তারই সূচনা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ খালেদুর রহমান, যিনি পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এবং অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান।
এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে কর্মসূচিকে সাফল্যমণ্ডিত করেন সেক্টরের বিভিন্ন সংগঠন, যার মধ্যে ছিলো— ক্লাব-১২, ওমেন্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, ক্লাব স্পোর্টস স্পাইস (CSS), দ্যা উত্তরা ডাইনামিক, অবসর ক্লাব, উচ্ছ্বাস ইত্যাদি।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান আয়োজকবৃন্দ ও প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উদ্যোক্তারা আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের কর্মসূচি নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও সচেতন নগর গড়ে তোলা সম্ভব।