আইন-অপরাধ

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি চেয়ে রিট

মুক্তমন ডেস্ক : নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক বিষয় পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রোববার সকালে জনস্বার্থে আইনজীবী রওশন আলী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। একইসঙ্গে রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে বলা হয়, উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫-এই রিপোর্টটি ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরীয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

প্রথমত, রিপোর্টের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থী।

দ্বিতীয়ত, রিপোর্টে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।

তৃতীয়ত, মাই বডি, মাই চয়েজ (My Body, My Choice)-এই স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরীয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।

চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যা ইসলামি মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

পঞ্চমত, রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা শরীয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক।

রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় ও উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বিবাদী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আইনজীবী রওশন আলী বলেন, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫-এর অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২-এ অন্তর্ভুক্ত সুপারিশগুলো ইসলামী শরীয়তের বিধানগুলোর পরিপন্থী, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী এবং বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এই বিষয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button