সিটি ব্যাংক কর্মকর্তা সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিটি ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার পোস্টে চাকরি করা এস এম আবু সাঈদ ওরফের সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিরপুরের আমিন বাজারে হাউজিং প্রকল্পের নামে জমি আত্মসাৎ, ফ্লাট বিক্রির নামে টাকা আত্মসাৎ, গাড়ি বিক্রি করে বুঝিয়ে না দেওয়া, আওয়ামী দোসরদের সাথে সখ্যতা, পুলিশকে ব্যবহার করে একাধিক মামলা দায়েরসহ রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
ভুক্তভোগী মাহবুব বলেন, আমার জীবনে গাড়ি কেনাই ছিল তার কাছ থেকে কাল। জীবিকা নির্বাহের আশায় তার কাছ থেকে একটি এক্স করোলা পাইভেট কার কিনি ডাউনপেমেন্ট দেয়ার পর বাকি টাকা কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করি। বিআরটিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকল কাগজপত্র কমপ্লিট করা হয়। মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় তিনি তালবাহানা শুরু করেন। আজ প্রায় আট বছর হয়ে গেলেও সে আমাকে মালিকানা বুঝিয়ে দেয়নি। মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে উনি আমাকে ডেকে নিয়ে গাড়ির চুরির মামলার দিয়ে গ্রেফতার করেন। আমার নামে একাধিক ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন দারুস সালাম থানার ওসি ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাকে গ্রেফতার করেন। তাকে সহযোগিতা করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি আসলামের লোকজনেরা। পরবর্তীতে মালিকানা বুঝিয়ে দেবেন বলে চুক্তিপত্র করা হয়। সেই চুক্তিপত্র তিনি অমান্য করেন। এখন আমার ধরাসাই অবস্থা আমি তার বিরুদ্ধে কঠিনতম কঠিন শাস্তির দাবি করি।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর বলেন, মাহবুবের মত আমার সাথেও একই ঘটনা ঘটেছে। তবে তার সঙ্গে কি ঘটেছে সে সম্পর্কে তিনি কোন তথ্য দেন নি।
আমিনবাজারের এই ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর বলেন, হাউজিং প্রকল্পের নামে তিনি অনেকের কাছে জমি বিক্রি করেন। কিন্তু পরবর্তীতে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে জমি বুঝিয়ে দেন না। পরবর্তীতে সেই জমি আবার অন্যের কাছে বিক্রি করেন। এমনকি একাধিক ফোন নম্বর ব্যবহার করেন তিনি। তার ভোটার আইডি কার্ড ও দুইটি। বৈষম্যহীন এই বাংলাদেশে স্বৈরাচারের বিদায় হলেও আওয়ামী দোসোরদের এখন পর্যন্ত বিচার হচ্ছে না। আওয়ামী দোসর এই এস এম সাঈদ ওরফে সিদ্দিকুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে সিটি ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার এস এম আবু সাঈদ ওরফের সিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে রকমের সাড়া পাওয়া যায়নি।
তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছেন, বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে আমরা জোরালোভাবে খোঁজখবর নিচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।