খেলা-বিনোদন

নারী ফুটবল দলকে দমিয়ে রাখার অভিযোগ কিরণের বিরুদ্ধে

মুক্তমন ডেস্ক : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাফুফের উইম্যান্স উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে পেছনের দিকে টেনে ধরার অভিযোগ উঠেছে। দেশের ফুটবল জাগরণের অন্যতম নির্দলীয় ‘সেভ বাংলাদেশ ফুটবল’ নামের গ্রুপে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

গ্রুপের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, “বাফুফের উইম্যান্স উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। বেশ কয়েকবছর আগে এক বিব্রতকর কারণে শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। নারীদের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এর নাম বলতে গিয়ে তিন/চারটি দেশের নাম বলতে হয়েছিলো তাঁর।
নারী দল জাতীয় ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অসাধারণ সাফল্য আনছে কয়েকবছর ধরেই। কিন্তু উইম্যান্স উইং এর প্রধান হিসেবে তাঁর কার্যক্রম যেন পিছন দিকেই টেনে ধরেছিলো দেশের নারী ফুটবলকে। মাত্র দুই বছর আগে, ২০২৩ সালে কেবল নামমাত্র অর্থ সংকট দেখিয়ে অলিম্পিক বাছাইপর্ব খেলতে দল পাঠায় নি বাফুফে।
এই তালিকা আরও অনেক লম্বা। কেবল নিজের পোর্টফোলিও শক্ত করার কাজে ব্যস্ত থাকা কিরণ দিতে পারেন নি দলকে বেসিক সুযোগ-সুবিধাও। বারংবার কিরণের ভুলে সমাধানে নামতে হচ্ছে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালকে। মায়ানমারে কিছুদিন আগেই এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব খেলে এসেছে মেয়েরা। সফর উপলক্ষ্যে মেয়েদের অভিযোগ নিম্নরুপ:
১. খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়েছিলো নিম্নমানের কেডস। অনেকের কেডস খুলে গিয়েছিলো।
২. একেকজনকে একেক কালারের কেডস দেওয়া হয় কোনো ড্রেসকোডের পরোয়া না করে।
৩. অনুশীলনের জন্য কেবল এক সেট প্র‍্যাকটিস জার্সি দেওয়া হয়। অনুশীলন শেষে ধুয়ে নিয়ে পরে আবারও পরিধান করতে হয়েছে।
এছাড়াও নারীদের বাফুফেতে যথাযথ নিয়ম না মেনে আবাসন ও ডায়েট মেনে না চলার অভিযোগ অনেক পুরনো। খোদ কোচ পিটার বাটলার আশ্চর্য হয়েছেন মেয়েরা এতো কম সুবিধা পেয়ে কীভাবে এতো ভালো আউটপুট দিয়েছে।
মেয়েদের সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে চাইলে উদ্যোগ নিতে পারতেন মাহফুজানাক্তার কিরণ। এসব না করে তিনি কেবল নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি দেশের বাইরে ফিফা কংগ্রেসে অংশ নিতে যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো তাঁকে। দুর্নীতির অভিযোগে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কিরণের ওপর।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যর্থতা, কোচ পিটার বাটলার ও খেলোয়াড়দের মধ্যকার কনফ্লিক্ট এর সমাধান করতে না পারা। এখানেও বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এর মত অন্য ফিল্ডের ফিগারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিলো।
দেশ বদলে গিয়েছে, এখনো বদলান নি কিরণ। আগের মতই ব্যর্থতার পাহাড় সাজিয়ে কেবল মাঝে মাঝে আসেন সাবেক সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন এর প্রশংসা করতে। মেয়েদের সাফল্যের পিছনে কৃতিত্ব দেন কাজী সালাহউদ্দিনকে-যেখানে সবার আগে নিজের দায়িত্বে অবহেলা ও ব্যর্থতা স্বীকার করা উচিত ছিলো কিরণের।
দেশ বদলালেও নিজেকে বদলাতে পারেন নি কিরণ। আদৌও কি পারবেন কখনো? ”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button