ক্যাম্পাস

পরীক্ষা দিতে চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সেই দুই শিক্ষার্থীর আকুতি

মুক্তমন রিপোর্ট : কলেজ কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারণে প্রবেশপত্র না পাওয়া রাজধানীর উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাহায্যের আকুল আকুতি জানিয়েছে।

আজ (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ও ইয়াসির আরাফাত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা সহযোগিতা চেয়ে এ আকুতি জানান। এ সময় দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা দেখেছি মায়ের অসুস্থতার কারণে দেরিতে আসায় মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে আমাদের এক বোন প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষাটি দিতে পারেনি। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যার নিজ ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে মানবিক বিবেচনায় সেই মেয়ে শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে বার্তা দিয়েছেন।

সাজ্জাদ বলেন, আজ শিক্ষকদের অবহেলা-অনিয়মের কারণে আমরাও প্রবেশপত্র হাতে পাইনি এবং প্রথম দিনের পরীক্ষা দিতে পারিনি। তাই আমাদেরও চাওয়া- মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা মানবিক বিবেচনায় আমাদের প্রবেশপত্র প্রাপ্তির সকল ব্যবস্থা করে দিক। আমাদের জীবনটা যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

প্রবেশপত্র না পাওয়া ভুক্তভোগী অপর শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা স্যার যদি আমাদের বিষয়টিও মানবিক বিবেচনায় দেখেন তাহলে আমরাও পরীক্ষা দিতে পারব।
কান্না বিজরিত কণ্ঠে ইয়াসির আরাফাত বলেন, যেহেতু সামনে আরো দুদিনের বন্ধ আছে তাই এই দুই দিনের মধ্যে আমাদেরকে প্রবেশপত্র দিলেই আমরা ভালভাবে পরীক্ষা দিতে পারব। এজন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের সাহায্য আমরা কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরাফাতের মা বিলকিস বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, আমি চাই আমার ছেলে পরীক্ষা দিক। পরীক্ষা দিতে না পারলে ওর জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার চাইলে এখনো আমার ছেলের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ আছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং পরীক্ষার যাবতীয় ফি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করেও কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র পায়নি উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ও ইয়াসির আরাফাত।

এ নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রকাশিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীদের চাওয়া- তারা যেন পরবর্তী পরীক্ষাগুলো দিতে পারে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছে দুই শিক্ষার্থী ও পরিবারের সদস্যরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button