উত্তরায় প্রাইভেট কারে অপহরণ, ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

মুক্তমন রিপোর্ট : রাজধানীর উত্তরায় এক যুবককে প্রাইভেটকারে তুলে অপহরণের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর প্রাইভেটকারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. হাসানুজ্জামান শাওন (৩৬) ও মো. আমির হোসেন (৩২)। দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মো. মহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১৮ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি উত্তরা পূর্ব থানাধীন বিএনএস সেন্টারের সামনে থেকে এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক অপহরণ করে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যা উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের নজরে আসে।
ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পরবর্তীতে আশপাশের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রাইভেটকারটি শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় অভিযান চালিয়ে হাসানুজ্জামান শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর কাছ থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো-গ-২৫-৯০৩৫) জব্দ করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্ব চনপাড়া এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টায় অভিযান চালিয়ে আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে—পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ভুক্তভোগী আরিফকে অপহরণ করে রূপগঞ্জে নিয়ে যায়। পরে টাকা আদায়ের পর আরিফকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করেছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামীম আহমেদ বলেন, অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দের পর গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। পরবর্তীতে তাঁদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গ্রেপ্তারে বিলম্বের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি শামীম বলেন, ‘অপহরণের পর ভুক্তভোগী আরিফ বা তাঁর স্বজনদের কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। সেই সঙ্গে অপহরণের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পর অপহরণকারীরা পুলিশি তৎপরতা টের পেয়ে কক্সবাজারে আত্মগোপন করে। তাঁরা ঢাকায় আসলে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়।