আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি : শহীদ মীর মুগ্ধ চত্ত্বরে নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের বিক্ষোভ

যে কারণে আজ থেকে ৮৫ বছর আগে হিটলারের দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো, ঠিক একই কারণে বহু আগেই ফ্যাসীবাদী- বাকশালীদের নিষিদ্ধ করা সম্ভব ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
১০ মে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মীর মুগ্ধ চত্তরে নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফোরামের উত্তরা অঞ্চল পরিচালক জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে এবং এডভোকেট ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মুহিব্বুল্লাহ, মাহবুবুল আলম মুকুল, মাজহারুল ইসলাম, আবু সাঈদ, ঢাকা-১৮ আসনে জামায়াত মনোনিত এমপি পদপ্রার্থী জননেতা অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, মতিউর রহমান প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলেও তারা জনগণের সাথে পুরোপুরি সুবিচার করতে পারেনি। মূলত, তারা জনগণের পালস বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত তারা কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা মহলের আনুকূল্য নিয়ে ক্ষমতায় আসেন নি বরং ছাত্র-জনতার ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। তাই তাদের কারো মুখের বা চোখের দিকে তাকালে চলবে না বরং জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে নিজেদের করণীয় নির্ধারণ এবং কালবিলম্ব না করে আওয়ামী ফ্যাসীবাদীদের নিষিদ্ধ করে গণহত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে আশ্বস্ত করে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করলে তারা নিজেরাই তার প্রতিবাদ করতে পারবে না, কোন রাজনৈতিক দলও সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করবে না, সুশীলরাও এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেবে না; সর্বোপরি কোন পত্রিকা সম্পাদকীয় লিখে এর বিরোধীতা করবে না। তাই সরকারের ভয়ের কোন কারণ নেই। তিনি সরকারকে আজ সন্ধ্যার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহবান জানান।
তিনি বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসীবাদীদের পতন হলেও তাদেরকে রাজনীতিতে পূনর্বাসনের জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু সরকারকে সকল বাধা- প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই দেশ, জাতি ও মানবতার স্বার্থেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কোন উপদেষ্টা যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিপক্ষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অবস্থান গ্রহণ করেন বা কারো পক্ষ থেকে এমন মনোভাব প্রকাশ পায় তাহলে তাদেরকে পরিষদ থেকে বাদ দিতে হবে। তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, আপনারা ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল। তাই তাদেরকে আর কষ্ট না দিয়ে অবিলম্বে ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহণের দরকার নেই। মতামত যদি নিতেই হয় তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মতামত নিতে হবে। তিনি টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।