মানবিক করিডোর দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়

মুক্তমন রিপোর্ট : রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোন আলাপ-আলোচনা না করে মানবিক করিডোর দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া একটি হঠকারি সিদ্ধান্ত। রাখাইন রাজ্যসহ পুরো মায়ানমারে এখন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা বিরাজমান। আরকান আর্মি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে চরম অমানবিক আচরণ করছে। তারা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের ঘরছাড়া করেছে। রাখাইন রাজ্যে এখন কোন কর্তৃপক্ষ নেই। এই নাজুক অবস্থায় মানবিক করিডর দিলে পুরো এলাকা অস্তিতিশীল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। গণশক্তি সভা কর্তৃক মানবিক করিডোর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, তড়িঘড়ি করে করিডোর দেওয়া উচিত হবে না। মানবিক করিডোর সমস্যার সমাধান নয়। সরকারের উচিত হবে মানবিক করিডোরের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, মানবিক করিডোরের মত একটা স্পর্শকাতর ইস্যুতে রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে পরামর্শ না করে সিদ্ধান্ত নেয়া একটা অন্যায়। কেবলমাত্র নির্বাচিত সরকারই মানবিক করিডর এর মতো স্পর্শকাতর বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সরকারের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে অনতিবিলম্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করে মানবিক করিডরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আরাকান আর্মি চূড়ান্তভাবে একটা অমানবিক বর্বর বাহিনী। তাদেরকে বিশ্বাস করা হবে মারাত্মক ভুল। যারা মানবিক করিডরের কথা বলছেন তাদের উচিত হবে রাখাইন, আরকান আর্মি, রোহিঙ্গার ব্যাপারে সম্যক ধারণা নেওয়া।
জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমান। সভাপতির বক্তব্যে সাদেক রহমান বলেন, আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে এই অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে না উঠে। সব গুরুত্বপূর্ণ পক্ষগুলোর সাথে আলাপ না করে মানবিক করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে বিপদজনক।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি হাসনাত শাহীন, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. মো: হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি সোহেল রানা মিঠু, কৃষিবিদ ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটার মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটার মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নতুন ধারা জনতার পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ নূর, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার প্রমূখ।